বাংলাদেশ বাণী, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : আসন শুন্য ঘোষনা করার আগেই গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য পদে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ দলের হাইকমান্ডের সাথে যোগাযোগের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে।
গত ১৮ নভেম্বর টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের লাঠিয়ারপাড়া নামক স্থানে সড়ক দৃর্ঘটনায় আহত গোলাম মোস্তফা আহমেদ ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৯ ডিসেম্বর পৌনে ৯টার সময় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার ফলে আসনটি শুন্য হয়। ২০১৭ সালের ২২ মার্চ উপ-নির্বাচনে তিনি সুন্দরগঞ্জের এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এর আগে আওয়ামী লীগের সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাসায় দূর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় আসনটি শুন্য হয়েছিল। মাত্র ২৫৩ দিনের আবার আসনটি শুন্য হয়। নির্বাচন কমিশন আসনটি ঘোষনা করার আগে সম্ভব্য প্রার্থীরা দৌড় ঝাঁপ শুরু করেছেন।
আওয়ামী লীগের সম্ভব্য প্রার্থীরা হলেন, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের বড়বোন আফরোজা বারী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক লিটনের স্ত্রী সৈয়দ খুরশিদ জাহান স্মৃতি, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আব্দুল্লাহ আল মামুন, সৈয়দ মাসুদা খাজা, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম রেজা, বিএনপি’র সম্ভব্য প্রার্থীরা হলেন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ, জাতীয় পার্টির উপজেলা সভাপতি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, প্রকৌশলী মোস্তাফা মহসিন সরদার, জামায়াত নেতা মাজেদুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি (জেপি) নেতা ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা, জাসদ নেতা এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী প্রামানিক, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজা বেগম কাকলী ও জেলা পরিষদ সদস্য এমদাদুল হক নাদিম। শোক আর বেদনার রেশ না কাটতেই সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রাজনীতি অঙ্গনে পুরোদমে ভোটের হাওয়া বইছে।